Our purpose in writing this report is to help those who are thinking of doing business but are lagging behind just thinking that they do not know how to do it. We tried to highlight everything. If something is wrong with us, please let us know in the comments. We will report more in the coming days - focusing on small business plan in the west bengal village areas.
We are not advertising this company in any way, but for the convenience of those of you who want to do this business. Many of you want to do business but you don't know how to do it, where to get raw material, where to get machines, and finally get frustrated and go back. So I have given some addresses so that you do not get mentally retarded, but I request you to proceed only after you verify yourself.
English Language
Mosquito repellent incense Sticks and oil, Small Scale Manufacturing and Sales Business Ideas, West Bengal, Kolkata, 2021
Those who want to produce mosquito repellent incense sticks need to take training. So for their convenience we are highlighting the details of a training center. If you want, you can also take training at the nearest training center you know.
Mosquito Incense Making Machine
Oliflora botanica Herbal Repellent Lotion (Manufacturing Organization)
Bengali Language
আমাদের এই প্রতিবেদন লেখার উদ্দেশ্য হল যারা ব্যবসা করবেন ভাবছেন কিন্তু পিছিয়ে যাচ্ছেন শুধু এটা ভেবে যে কীভাবে করব জানেন না তাদের জন্য এই প্রতিবেদন অনেকটাই সাহায্য করবে আমাদের মনে হয়। আমরা চেষ্টা করেছি সমস্ত কিছু তুলে ধরার। যদি আমাদের থেকে কিছু ভুল হয়ে থাকে অবশ্যই আমাদের জানাবেন কমেন্ট করে। আমারা আগামী দিনে এই রকম আরো প্রতিবেদন তুলে ধরবো – গ্রামাঞ্চলে ছোট ব্যবসায়ের পরিকল্পনার দিকে মনোনিবেশ করা।
আমরা কোনোভাবে এই সংস্থার বিজ্ঞাপণ করছি না, আপনারা যারা এই ব্যবসা করতে চান তাদের সুবিধার্থে এই তথ্যটি তুলে ধরেছি। আপনারা অনেকেই চান ব্যবসা করতে কিন্তু কীভাবে করব, কোথায় কাঁচামাল পাবো, কোথায় গেলে মেশিন পাবো জানতে পারেন না, অবশেষে হতাশ হয়ে পিছিয়ে যান। তাই আপনারা যাতে মানসিক ভাবে পিছিয়ে না পরেন তাই কিছু ঠিকানা তুলে ধরেছি, তবে আপনারা নিজেরা অবশ্যই যাচাই করে তবেই এগোবেন আমার অনুরোধ।
মশারোধী ভেষজ ধূপ ও তেলের উৎপাদন ও বিক্রি ব্যাবসা, পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা ২০২১
“রাতে মশা, দিনে মাছি, এ উপদ্রব চিরকালীন”। তবে বর্ষায় জমা জলে বংশবিস্তার করে
মশারা হয়ে ওঠে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগের বাহক। এ সময় মশাকে দূরে রাখতে
ভেষজ মশারোধকের বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না বলে এর চাহিদাও বাড়ছে। তাই এটি
এখন খুবই লাভজনক ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। অল্প পুঁজিতে মশানাশক ভেষজ ধূপকাটি বা তেল তৈরি
করে ব্যবসা করা যায়। তবে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকতে হবে।
বর্ষার সময় বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকায় মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় আর প্রতি বছরই এই সময়ে মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েন – ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গি ইত্যাদি মশাবাহিত রোগে। কিন্তু এই বছর করোনার পাশাপাশি এই সব রোগ মাথা চাড়া দিলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠবে সন্দেহ নেই। তাই মশা থেকে দূরে থাক্তেই হবে।
মশার থেকে বাঁচতে আমরা সাধারনত মশানাশক তেল, ধূপকাঠি, কয়েল, রেপেলেন্ট, স্প্রে,
লোশন বা ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করি। স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই ইদানীং এসব জিনিস তৈরিতে
রাসায়নিক উপাদানের চেয়ে ভেষজ বা হার্বাল উপকরণ ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
মশানাশক ভেষজ ধূপকাঠির সঙ্গে আর-পাঁচটা সুগন্ধী ধূপকাঠির আপাতভাবে কোনও তফাত
নেই। ভেষজ সিস্ট্রোনেলা তেলে মশা তো তাড়ানো যায়ই, শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়।
সবচেয়ে বড় কথা এগুলি রাসায়নিক কয়েল বা রেপেলেন্ট বা স্প্রে-র মতো শরীরের পক্ষে
ক্ষতিকর একেবারেই নয়। ফলে ধীরে ধীরে এসবের ভালো চাহিদা তৈরি হচ্ছে।
মাত্র ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা সম্বল করেই শুরু করা যায় ভেষজ মশানাশক তৈরির ব্যবসা। করোনাকালে তা ঘরে বসেই উপার্জনের পথ দেখাতে পারে। কিন্তু নিজে যদি উৎপাদন করে বিপণন করতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। নিজে উৎপাদন না করতে চাইলে অন্য সংস্থার তৈরি ভেষজ মশাবিরোধী ধূপকাঠি, সিস্ট্রোনেলা অয়েল বা লোশনের ডিলারশিপ নিতে পারেন।
যাঁরা মশানাশক ভেষজ ধূপকাঠি উৎপাদন করতে চান তাঁদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাই
তাদের সুবিধার্থে আমরা একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিবরণ তুলে ধরছি। আপনারা চাইলে আপনাদের
জানা নিকটবর্তী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাম – প্রগতি রিসার্চ ইন্সটিটিউট
কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান প্রগতি রিসার্চ ইন্সটিটিউট মশানাশক
ধূপ, রেপেলেন্ট, স্প্রে, তেল ইত্যাদি তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। দুটি পৃথক কোর্স রয়েছে যথা
–
মশানাশক ধূপকাঠি তৈরির কোর্স – এই কোর্সে ভেসজ ও সিনথেটিক মশানাশক ধূপকাঠি তৈরির
পাশাপাশি সাধারণ সুগন্ধী ধূপকাঠি তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। মেয়াদ ৭ থেকে ১০ দিন।
প্রশিক্ষণ ফি – ৫,০০০ টাকা।
মসকুইটো আইটেম কোর্স – এই কোর্সটিতে মশানাশক স্প্রে, তেল, কয়েল ইত্যাদি তৈরি
করানো শেখানো হয়। কোর্সের মেয়াদ ১৫ দিন। প্রশিক্ষণ ফি – ৭,৯০০ টাকা।
প্রগতি-তে এই দুই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য বছরের যেকোনো সময় আবেদন করা যায়।
শুক্রুবার বাদে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের সুবিধা অনুযায়ী সপ্তাহের যে-কোনো দুটি দিনে প্রশিক্ষণ
নিতে পারেন। হাতেকলমে কাজ শেখানোর সময় যাবতীয় উপকরণ প্রতিষ্ঠানের তরফে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী
কীভাবে ব্যবসা করবেন, কোথা থেকে উপকরণ সংগ্রহ করবেন, কীভাবে লাইসেন্স পাবেন, এবং কীভাবে
মার্কেটিং করবেন ইত্যাদি যাবতীয় ধারণা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া
হয়। ব্যবসা করার সময় এখানকার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা কোনও সমস্যায় পড়লে বিনামূল্যে
তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয় এবং সমস্যার সমাধান করা হয়।
যোগাযোগ – প্রগতি, নর্থ ঘোষপাড়া গ্যাসগিট রোড, বালি, হাওড়া।
ফোন – (০৩৩) ২৬৭১-০২৯২ (সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে)।
মোবাইল – ৯৪৩২ ৪৯০ ৩২৯
(বিঃদ্রঃ- কোনোরকম ভাবে প্রতারণার স্বীকার হলে এই ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ দ্বায়ী
থাকবে না। দয়া করে নিজেরা যাচাই করে নেবেন)
মশানাশক ধূপকাঠি তৈরির মেশিন
ভারত মেশিন টুলস ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার তাপস বসু জানালেন, সাধারাণ সুগন্ধী ধুপকাঠি
তৈরির মেশিনেই মশানাশক ধূপকাঠি উৎপাদন করা যায়। ব্যবসা করার জন্য বিরাট পুঁজির প্রয়োজন
নেই, প্রয়োজন নেই বড় জায়গার, এমনকী লোকবলের। একজনই তৈরি করতে পারবেন।
ম্যানুয়াল মেশিনের দাম ১২,০০০ টাকা। এই মেশিনে ঘন্টাপিছু উৎপাদন যিনি তৈরি করছেন
তাঁর দক্ষতা ও তৎপরতার উপর নির্ভর করে। আর সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ধূপকাঠির
মেশিনের দাম ৮০,০০০ টাকা। এই মেশিনে ৬ ঘন্টায় ৪০ কেজি
ধূপকাঠি তৈরি করা যায়। মেশিন ইন্সটলেশন, ট্রেনিং দেওয়ার জন্য আলাদা কোনো খরচ লাগে না।
যোগাযোগ – ভারত মেশিন টুলস ইন্ডাস্ট্রি, ৬১, গনেশচন্দ্র
অ্যাভিনিউ, কলকাতা – ৭০০০১৩,
ফোন – (০৩৩) ২২৩৬-৮০১৫, মোবাইল – ৯৪৩২ ৪২২ ০৮৬
(বিঃদ্রঃ- কোনোরকম ভাবে প্রতারণার স্বীকার হলে এই ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ দ্বায়ী
থাকবে না। দয়া করে নিজেরা যাচাই করে নেবেন)
ওলিফ্লোরা বোটানিকার ভেষজ রেপেলেন্ট লোশন
মশানাশক ভেষজ রেপেলেন্ট লোশন ও ক্রিম তৈরি করে ওলিফ্লোরা বোটানিকা। সংস্থার কর্ণধার সঞ্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাস ২০১৫-তে প্রথমে জেবিএল স্পাইসেস সংস্থার মাধ্যমে মশলা তৈরি ও বিপণনের ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৮ থেকে মশলার পাশাপাশি প্রসাধনী দ্রব্য, মসকুইটো রেপেলেন্ট লোশন তৈরি শুরু হয় “ওলিফ্লোরা বোটানিকা” ব্র্যান্ড নামে। সংস্থার যাবতীয় প্রসাধনী সামগ্রী প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি। হার্বাল অয়েল, এশেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা হয়।
কোনও কেমিক্যাল বা প্রিজারভেটিভ মেশানো হয় না এবং পুরোটাই হাতে
তৈরি করেন সংস্থার কর্মীরা। এই কর্মীরা প্রত্যেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। মূলত মহিলা
প্রতিবন্ধীদের আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠান তিনি শুরু
করেন বলে জানালেন সঞ্চিতা। যে-কেউই ওলিফ্লোরা বোটানিকা-এর ভেষজ রেপেলেন্ট লোশনের ডিলারশিপ
নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। সঞ্চিতা আরও জানালেন, বিশেষ করে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও পারিবারিক
হিংসার শিকার হওয়া মেয়ারা সাবলম্বী হওয়ার কথা ভাবলে তাঁর সংস্থায় যুক্ত হতে পারেন।
প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে সংস্থার প্রসাধনী দ্রব্য, রেপেলেন্ট লোশন পৌঁছে দেওয়া হবে,
যাতে তাঁরা সেগুলি বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।
যোগাযোগ – ৯১৬৩ ৭৭৭ ২৫৩
(বিঃদ্রঃ- কোনোরকম ভাবে প্রতারণার স্বীকার হলে এই ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ দ্বায়ী
থাকবে না। দয়া করে নিজেরা যাচাই করে নেবেন)
আমরা মশানাশক ধূপকাঠির দুই প্রস্তুতকারকের থেকে জানবো
এই ব্যবসার কতটা চাহিদা আছে?
তনয় সরকার (মশারোধী ধূপকাঠি প্রস্তুতকারক, কলকাতা)
মঠ ও মিশনই প্রধান ক্রেতা। সাড়ে তিন বছর ধরে এই ব্যবসা
করছি। তার আগে প্রগতি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। ভেষজ মশানাশক ধূপকাঠি মূলত তৈরি হয় বাগবাজার
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের জন্য। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দিল্লি, মুম্বাই, লখনউ, চেরাপুঞ্জি,
আন্দামান ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যায় এই ধূপকাঠি। মিশন ছাড়াও কিছু
দোকানদার আমার তৈরি ধূপকাঠি কেনেন। সুগন্ধী ধুপকাঠির পাশাপাশি মশানাশক ধূপকাঠির চাহিদা
বেড়েছে।
শুভ্রাংশু মন্ডল (মশারোধী ধূপকাঠি প্রস্তুতকারক, হলদিয়া)
বর্ষাকাল চলে গেলে সাধারণ ধূপকাঠি ব্যবসা সামাল দেয়। সাড়ে
পাঁচ বছর ধরে ধূপকাঠি ও মশারোধী ভেষজ ধূপকাঠি তৈরি করে ব্যবসা করছি। এই ব্যবসায় আমার
একজন পার্টনার আছেন। হলদিয়া সহ গোটা পশ্চিম মেদিনীপুরে আমাদের সংস্থার জিনিস বিক্রি
হয়। মশারোধী ধূপকাঠির বাজারে যথেষ্ট চাহিদা আছে। বিশেষ করে বর্ষা কালে। মশার প্রকোপ
কমে গেলে ধূপ বিক্রি একটু কমে যায়, তবে পাশাপাশি সাধারণ ধূপকাঠির ব্যবসা থাকায় সামাল
দিতে সুবিধা হয়। আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করি।